"হেমন্তের আবির্ভাবে বিশ্বকবির সাথে"

হেমন্ত হলো ষড়ঋতুর ৪র্থ ঋতু, যা কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাস নিয়ে সমৃদ্ধ। এর পরে আসে শীত, তাই হেমন্তকে বলা হয় শীতের পূর্বাভাস।
তাই এ ঋতুকে নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর "হিমের রাতে" গানটিতে লিখেছেন:
তাই এ ঋতুকে নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর "হিমের রাতে" গানটিতে লিখেছেন:
'হিমের রাতে ওই গগনের দীপগুলিরে,
হেমন্তিকা করল গোপন আঁচল ঘিরে।
ঘরে ঘরে ডাক পাঠালো ‘দীপালিকায় জ্বালাও আলো,
জ্বালাও আলো, আপন আলো, সাজাও আলোয় ধরিত্রীরে।’
হেমন্তিকা করল গোপন আঁচল ঘিরে।
ঘরে ঘরে ডাক পাঠালো ‘দীপালিকায় জ্বালাও আলো,
জ্বালাও আলো, আপন আলো, সাজাও আলোয় ধরিত্রীরে।’
হেমন্তের মাসদ্বয়কে কৃত্তিকা ও আর্দ্রা এ দুটি তারার নাম অনুসারে নাম রাখা হয়েছে কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসের। কার্তিকের পর আসে সর্বজনীন লৌকিক উৎসব নবান্নে। ‘অগ্র’ ও ‘হায়ণ’ এর অর্থ যথাক্রমে ‘ধান’ ও ‘কাটার মওসুম’, তাই অগ্রাহায়নে হয় নবান্ন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মনে করেন হেমন্তে শান্তির বার্তা বয়ে যায় সকলের গৃহে।
বিশ্বকবি তাঁর "নৈবদ্যে স্তব্ধতা" কবিতায় হেমন্তকে নিয়ে তাইত লিখেছেনঃ
‘আজি হেমন্তের শান্তি ব্যাপ্ত চরাচরে
জনশূন্য ক্ষেত্র মাঝে দীপ্ত দ্বিপ্রহরে
শব্দহীন গতিহীন স্তব্ধতা উদার
রয়েছে পড়িয়া শ্রান্ত দিগন্ত প্রসার
স্বর্ণশ্যাম ডানা মেলি।’
‘আজি হেমন্তের শান্তি ব্যাপ্ত চরাচরে
জনশূন্য ক্ষেত্র মাঝে দীপ্ত দ্বিপ্রহরে
শব্দহীন গতিহীন স্তব্ধতা উদার
রয়েছে পড়িয়া শ্রান্ত দিগন্ত প্রসার
স্বর্ণশ্যাম ডানা মেলি।’
আমাদের কথা-
হেমন্তের আগমনে আছি বিশ্বকবির সনে,
রবিবারে রবির সাথে,
রবি দিবসে পর্ব-৩ এ শুভক্ষণে
।রবিবারে রবির সাথে,
রবি দিবসে পর্ব-৩ এ শুভক্ষণে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন