বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৯
শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৯
বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৯
বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৯
অপেক্ষা
<---- অপেক্ষা ---->
"অপেক্ষা" শব্দের সংগে কষ্টের যোগ করলে,
যে শব্দটি পাওয়া যায় তাতে সুখ নেই।
"অপেক্ষা" শব্দের সংগে আনন্দের যোগ থাকলে,
সে অপেক্ষায় ক্লান্তি নেই।
কষ্ট যোগে অপেক্ষা
নাকি
আনন্দ যোগে অপেক্ষা?
তা নির্ধারণ করতে যদি তোমাকে বলি,
তুমি বাঁকা হাসি দিয়ে
বলবে অপেক্ষা, আমিও তো করি।
কতটা অপেক্ষায় রাখলে, আর অপেক্ষা মনে হবে না,
কতটা অপেক্ষায় থাকলে, আর অপেক্ষা করতে হবে না,
তা তো তুমিই বলতে পারো।
স্রোতের বিপরীতে অপেক্ষার সমুদ্রে আছি,
অথচ কারও কাছে অাক্ষেপ জানানোর উপায় কই।
-------------------------
২৭ অক্টোবর, ২০১৯
"অপেক্ষা" শব্দের সংগে কষ্টের যোগ করলে,
যে শব্দটি পাওয়া যায় তাতে সুখ নেই।
"অপেক্ষা" শব্দের সংগে আনন্দের যোগ থাকলে,
সে অপেক্ষায় ক্লান্তি নেই।
কষ্ট যোগে অপেক্ষা
নাকি
আনন্দ যোগে অপেক্ষা?
তা নির্ধারণ করতে যদি তোমাকে বলি,
তুমি বাঁকা হাসি দিয়ে
বলবে অপেক্ষা, আমিও তো করি।
কতটা অপেক্ষায় রাখলে, আর অপেক্ষা মনে হবে না,
কতটা অপেক্ষায় থাকলে, আর অপেক্ষা করতে হবে না,
তা তো তুমিই বলতে পারো।
স্রোতের বিপরীতে অপেক্ষার সমুদ্রে আছি,
অথচ কারও কাছে অাক্ষেপ জানানোর উপায় কই।
-------------------------
২৭ অক্টোবর, ২০১৯
রাতের সমুদ্রে...
যখন অশেষ কষ্ট আর ভালোবাসা ধারণ করা কঠিন,
তখনই কাউকে কষ্ট ও ভালোবাসা'র ভাগ দিয়ে দেয়া লাগে,
অথবা কারও কাছে জমা করা যদি যায়,
নিজেকে অনেক হালকা মনে হয়।
রাতের সমুদ্র তেমন একটি জায়গা আমার কাছে,
যাকে অশেষ কষ্ট আর ভালোবাসা দিয়ে আসা যায়।
রাতের সমুদ্রে ভালোবাসা আর কষ্ট উড়াই...
(রাতে কক্সবাজার কলাতলী বিচে, কিছু পূর্বে)
তখনই কাউকে কষ্ট ও ভালোবাসা'র ভাগ দিয়ে দেয়া লাগে,
অথবা কারও কাছে জমা করা যদি যায়,
নিজেকে অনেক হালকা মনে হয়।
রাতের সমুদ্র তেমন একটি জায়গা আমার কাছে,
যাকে অশেষ কষ্ট আর ভালোবাসা দিয়ে আসা যায়।
রাতের সমুদ্রে ভালোবাসা আর কষ্ট উড়াই...
(রাতে কক্সবাজার কলাতলী বিচে, কিছু পূর্বে)
ভাল থাকো তুমি
বিষ যদি বিষাক্ত হয়
বিষই সই।
আমার রক্তে,
তোমার অপরাধের বিষ
নিলেম পুরোটাই।
ভাল থাকো তুমি।
♥♥
বিষই সই।
আমার রক্তে,
তোমার অপরাধের বিষ
নিলেম পুরোটাই।
ভাল থাকো তুমি।
♥♥
লীনার জন্মদিনে
#জন্মদিন_শুভদিন
- ছদরুল উলা।
রেজাভাইয়ে ভাবছে বসে--
''কি করি এই দিনে
জীবন আমার পূর্ণ যার
ভালবাসার ঋণে!
যার কোলেতে জন্ম নিল
সোনা-মানিক রাকিন
যার হাসিতে ঝলমলানো
আমার পুরো সাকিন!
শাড়ি-চুড়ি-গয়নাগাটি
আর কি কি যায় কিনা
আর কি পেলে খুশি হবে
রাকিনের মা লিনা?''
এমনতর ভাবনা কত
বাজায় খুশির বীণ
একটিমাত্র সোনা বউয়ের
আজকে জন্মদিন!
ভেবে ভেবে রেজা ভাইয়ের
ত্রাসে কাঁপে গাত্র
পত্নীপ্রেমের অনুরাগে
ঘুমায়নি কাল রাত্র!
অবশেষ রাখিন এসে
বললো ''বাবা এসো
আমার মায়ের জন্মদিনে
যত পার হেসো
মস্তবড় কেক কিনেছি
রকমারি খাবার
বসে বসে ভাবছো কেন
নেই যে সময় ভাবার!''
ছেলের অমন কাণ্ড দেখে
বাবার মুখে হাসি
জন্মদিনের খুশির জোয়ার
বইছে রাশি রাশি
সবাই মিলে গেয়ে চলে
জন্মদিনের গান
আমৃত্যুকাল সুখ-শান্তি
থাকুক বহমান।
------------------------------♥
পুনশ্চ: বন্ধুপত্নী লিনা ভাবীর জন্মদিনে শুভকামনা-----
"শুভ শুভ শুভ দিন
লিনা ভাবীর জন্মদিন
রাকিনের মা'র জন্মদিন
শুভ শুভ শুভ দিন।"
অসাধারণ কবিতায় কৃতজ্ঞতা:
গুরুজী কৃৃতজ্ঞতা
অপূর্ব কবিতা
অনবদ্য কথামালা
ধন্যবাদ দিলেম বুক ভরা।
-রেজা।
আমার বন্ধুত্ব, সাজুর অপারে চলা যাওয়া
বন্ধু সাজুর (ছবিতে মাঝে) অকাল প্রয়াণে স্মৃতিচারণা কবিগুরু'র ভাষায়-
"বন্ধুত্ব আটপৌরে, ভালবাসা পোষাকী। বন্ধুত্বের আটপৌরে কাপড়ে দুই-এক জায়গায় ছেড়া থাকিলেও চলে, ঈষৎ ময়লা হইলেও হানি নাই, হাটুর নীচে না পৌছিলেও পরিতে বারণ নাই। গায়ে দিয়া আরাম পাইলেই হইল। কিন্তু ভালবাসার পোষাক একটু ছেড়া থাকিবে না, ময়লা হইবে না, পরিপাটি হইবে। বন্ধুত্ব নাড়াচাড়া টানাছেড়া তোলাপাড়া সয়, কিন্তু ভালবাসা তাহ সয় না।"
"বন্ধুত্ব আটপৌরে, ভালবাসা পোষাকী। বন্ধুত্বের আটপৌরে কাপড়ে দুই-এক জায়গায় ছেড়া থাকিলেও চলে, ঈষৎ ময়লা হইলেও হানি নাই, হাটুর নীচে না পৌছিলেও পরিতে বারণ নাই। গায়ে দিয়া আরাম পাইলেই হইল। কিন্তু ভালবাসার পোষাক একটু ছেড়া থাকিবে না, ময়লা হইবে না, পরিপাটি হইবে। বন্ধুত্ব নাড়াচাড়া টানাছেড়া তোলাপাড়া সয়, কিন্তু ভালবাসা তাহ সয় না।"
টাইটানিক- এর কথা....
টাইটানিক- এর কথা....
এ জাহাজে ভিআইপি ও উচ্চ শ্রেণির লোকদের উপরে উঠতে সহজ সিড়ি দেয়া হয়....
নিচু শ্রেণি লোকদের যুদ্ধ করে টিকেট কেটেও মারামারি করে উঠতে হয়...!
আবার যখন জাহাজ ডুবে...
তখন উচ্চ শ্রেণির যাত্রিদের নৌকো করে পার করা হয়....
আর নিচু শ্রেণির মরণের ইতিহাস সবার জানা...!
যতদিন বৈষম্য রবে
ততদিন টাইটানিক ডুববে
এ জাহাজে ভিআইপি ও উচ্চ শ্রেণির লোকদের উপরে উঠতে সহজ সিড়ি দেয়া হয়....
নিচু শ্রেণি লোকদের যুদ্ধ করে টিকেট কেটেও মারামারি করে উঠতে হয়...!
আবার যখন জাহাজ ডুবে...
তখন উচ্চ শ্রেণির যাত্রিদের নৌকো করে পার করা হয়....
আর নিচু শ্রেণির মরণের ইতিহাস সবার জানা...!
যতদিন বৈষম্য রবে
ততদিন টাইটানিক ডুববে
আমার বঙ্গবন্ধু
আমাকে মোনেম খান কাবু করতে পারেনি, এমনকি আইয়ুব খানও পারেনি— কিন্তু আমাকে দুর্বল করে দিয়েছে আপনাদের এই অকুণ্ঠ ভালোবাসা। আপনারা দোয়া করবেন যেন আপনাদের এই ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারি।
- বাঙালীর প্রতি বঙ্গবন্ধু।
বাংলার মানুষের প্রতি ভালোবাসার মর্যাদা তিনি রক্ত দিয়ে পরিশোধ করে গেছেন। সমুদ্র বা মহাসমুদ্রের গভীরতা পরিমাপ করা সম্ভব; কিন্তু বাংলা ও বাঙালির জন্য বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ের যে দরদ যে ভালোবাসা তার গভীরতা অপরিমেয়। এমন গুনী প্রেমিক, গুনী দরদি শিল্পী কয়জন আছে?
কবিগুরুর ভাষায়,
‘তুমি কেমন করে গান কর হে গুণী,
অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি।।’
চরুলিয়া থেকে ঢাকা, আমাদের দুখু মিয়া
চরুলিয়া থেকে ঢাকা
আমাদের দুখু মিয়া
অগ্নিবীণা হাতে তাঁর প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তাঁর প্রকাশ।
অনেক সংগ্রাম, আর ত্যাগের বিনিময়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর কষ্টের জীবন, সাহিত্যচর্চা ও নজরুল হয়ে ওঠার গল্প আমাদের বিস্মিত করে।
তিনি ভারতের কোলকাতা
র চরুলিয়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। অল্প বয়সে বাবা-মাকে হারান নজরুল। এরপর শুরু হয় তাঁর কষ্টের জীবন। ছোটবেলা দুঃখ-কষ্টে কেটেছে বলে সে সময়ে তাঁর ডাক নাম ছিল দুখু মিয়া।
গ্রামের মক্তবে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে নজরুল যোগ দিয়েছিলেন লেটো গানের দলে। কিছুদিন ছিলেন মক্তবের শিক্ষক। আসানসোলে রুটির দোকানেও কাজ করেছেন তিনি। এরপর সেখান থেকে এক বাঙালি পুলিশ অফিসার তাকে ময়মনসিংহে এনে স্কুলে ভর্তি করেন। স্কুলে পড়ার সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগদান করেন নজরুল।
যুদ্ধ শেষে কলকাতায় ফিরে এসে সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন তিনি। ‘ধূমকেতু’, ‘নবযুগ’ ও ‘লাঙ্গল’ পত্রিকার সম্পাদনাও করেছেন নজরুল।
তিনি আদর্শ শিক্ষক, তিনি বীর সৈনিক, তিনি কর্মঠ নাগরিক, তিনি ছিলেন অকুতোভয় সাংবাদিক। আবার তিনি ছিলেন কিংবদন্তীতুল্য গীতিকার, বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক।
কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি অনেক খ্যাতির পাশাপাশি তাকে বিদ্রোহী কবির উপাদি দেয়। ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতা লিখে ব্রিটিশ শাসকদের ব্যঙ্গ করেছিলেন তিনি। সেজন্য তাঁকে কারাভোগ করতে হয়েছিল। কারাগারে থাকা অবস্থায় কবি অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং বাকশক্তি হারান।
১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট/১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গনে তাকে কবর দেওয়া হয়।
কিংবদন্তীতুল্য কবির শুরু হয়েছিল চরুলিয়ায় শেষ হলো ঢাকায়। আসলেই কি শেষ হয়েছিলো দুখু মিয়ার কৃত্যি। না, তার কৃত্যি সকলের দু:খ মুছায়। তিনি গণ জাগরণের আরেক নাম।
চরুলিয়ায় তাঁর শুরু হলেও দুই বাংলায়ই ছিলো তাঁর সমান বিচরণ। কাজী নজরুল আমাদের বাংলা সাহিত্যের এক চেতনার নাম।
দেশ ভাগের সময় অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের বঙ্গবিভাজনে অন্নদা শঙ্কর রায় আশাহত হয়ে লিখেছিলেন-
'‘ভুল হয়ে গেছে বিলকুল,
আর সব কিছু ভাগ হয়ে গেছে,
ভাগ হয়নি কো নজরুল
এই ভুলটুকু বেঁচে থাক।
বাঙালি বলতে একজন আছে,
দুর্গতি তাঁর ঘুচে যাক।’'
প্রিয় অন্নদাশঙ্কর রায় ঠিকই বুঝে ছিলেন দেশ ভাগ হলেও কবিকে ভাগ করা যাবেনা। তাইতো অসুস্থ নজরুলকে খুব বাজেভাবেই যখন ভাগ করা হলো- কারো কাছে তিনি হলেন ‘যবন কবি’, আবার কেউ কেউ বলেন তিনি ‘হিন্দু কবি’। সে অবস্থায় বাধা হয়ে দাড়ালেন আরেক কিংবদন্তী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সৃষ্টির পাশাপাশি বিদ্রোহী কবিকে আমন্ত্রণ জানালেন দেশে, তাকে করলেন জাতীয় কবি।
কৃত্যিমানের মৃত্যু নেই। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বরপুত্র নজরুল আমাদের সবার প্রাণে জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর সৃষ্টি আমাদের বিমোহিত করে। তাইতো আজো তাঁকে নিয়ে আলোচনা বিশ্লেষণ চলে সর্বত্রই।
চরুলিয়া থেকে ঢাকা, সর্বত্র বিরাজমান তিনি।
তিনি আমাদের দুখু মিয়া,
তিনি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
আমাদের দুখু মিয়া
অগ্নিবীণা হাতে তাঁর প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তাঁর প্রকাশ।
অনেক সংগ্রাম, আর ত্যাগের বিনিময়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর কষ্টের জীবন, সাহিত্যচর্চা ও নজরুল হয়ে ওঠার গল্প আমাদের বিস্মিত করে।
তিনি ভারতের কোলকাতা
র চরুলিয়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। অল্প বয়সে বাবা-মাকে হারান নজরুল। এরপর শুরু হয় তাঁর কষ্টের জীবন। ছোটবেলা দুঃখ-কষ্টে কেটেছে বলে সে সময়ে তাঁর ডাক নাম ছিল দুখু মিয়া।
গ্রামের মক্তবে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে নজরুল যোগ দিয়েছিলেন লেটো গানের দলে। কিছুদিন ছিলেন মক্তবের শিক্ষক। আসানসোলে রুটির দোকানেও কাজ করেছেন তিনি। এরপর সেখান থেকে এক বাঙালি পুলিশ অফিসার তাকে ময়মনসিংহে এনে স্কুলে ভর্তি করেন। স্কুলে পড়ার সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগদান করেন নজরুল।
যুদ্ধ শেষে কলকাতায় ফিরে এসে সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন তিনি। ‘ধূমকেতু’, ‘নবযুগ’ ও ‘লাঙ্গল’ পত্রিকার সম্পাদনাও করেছেন নজরুল।
তিনি আদর্শ শিক্ষক, তিনি বীর সৈনিক, তিনি কর্মঠ নাগরিক, তিনি ছিলেন অকুতোভয় সাংবাদিক। আবার তিনি ছিলেন কিংবদন্তীতুল্য গীতিকার, বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক।
কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি অনেক খ্যাতির পাশাপাশি তাকে বিদ্রোহী কবির উপাদি দেয়। ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতা লিখে ব্রিটিশ শাসকদের ব্যঙ্গ করেছিলেন তিনি। সেজন্য তাঁকে কারাভোগ করতে হয়েছিল। কারাগারে থাকা অবস্থায় কবি অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং বাকশক্তি হারান।
১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট/১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গনে তাকে কবর দেওয়া হয়।
কিংবদন্তীতুল্য কবির শুরু হয়েছিল চরুলিয়ায় শেষ হলো ঢাকায়। আসলেই কি শেষ হয়েছিলো দুখু মিয়ার কৃত্যি। না, তার কৃত্যি সকলের দু:খ মুছায়। তিনি গণ জাগরণের আরেক নাম।
চরুলিয়ায় তাঁর শুরু হলেও দুই বাংলায়ই ছিলো তাঁর সমান বিচরণ। কাজী নজরুল আমাদের বাংলা সাহিত্যের এক চেতনার নাম।
দেশ ভাগের সময় অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের বঙ্গবিভাজনে অন্নদা শঙ্কর রায় আশাহত হয়ে লিখেছিলেন-
'‘ভুল হয়ে গেছে বিলকুল,
আর সব কিছু ভাগ হয়ে গেছে,
ভাগ হয়নি কো নজরুল
এই ভুলটুকু বেঁচে থাক।
বাঙালি বলতে একজন আছে,
দুর্গতি তাঁর ঘুচে যাক।’'
প্রিয় অন্নদাশঙ্কর রায় ঠিকই বুঝে ছিলেন দেশ ভাগ হলেও কবিকে ভাগ করা যাবেনা। তাইতো অসুস্থ নজরুলকে খুব বাজেভাবেই যখন ভাগ করা হলো- কারো কাছে তিনি হলেন ‘যবন কবি’, আবার কেউ কেউ বলেন তিনি ‘হিন্দু কবি’। সে অবস্থায় বাধা হয়ে দাড়ালেন আরেক কিংবদন্তী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সৃষ্টির পাশাপাশি বিদ্রোহী কবিকে আমন্ত্রণ জানালেন দেশে, তাকে করলেন জাতীয় কবি।
কৃত্যিমানের মৃত্যু নেই। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বরপুত্র নজরুল আমাদের সবার প্রাণে জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর সৃষ্টি আমাদের বিমোহিত করে। তাইতো আজো তাঁকে নিয়ে আলোচনা বিশ্লেষণ চলে সর্বত্রই।
চরুলিয়া থেকে ঢাকা, সর্বত্র বিরাজমান তিনি।
তিনি আমাদের দুখু মিয়া,
তিনি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)